তথ্য-প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে নানা দিক থেকে প্রভাবিত করছে। মানুষ নতুন করে নিজ নিজ পরিমণ্ডলে সহজতা, দ্রুততা, সম্প্রসারণতা তৈরির জন্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গবেষণার মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকসমূহ আবিষ্কারের সাথে সাথে সে কাজগুলো আঞ্জাম দেওয়ার জন্য দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। যার দরুণ, তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নানাবিধ প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে বিশ্বের নানান প্রান্তে।
বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এদেশের মানুষের দ্বারা অনেক কিছুই করা সম্ভব। এই অসাধারণ সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠীসমৃদ্ধ প্রিয় বাংলাদেশে দুঃখজনকভাবে বেকারত্বের হার শতকরা ৫.৩ ভাগ। এই বেকারত্ব আমাদের দেশের জন্য বড় একটি সমস্যা। এই সমস্যার পাশাপাশি আরেকটি উল্টো চিত্রও আমাদের চোখে পড়ে; অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের টেকনিক্যাল কাজের জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে চাইলেও যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন জনবলের সন্ধান পান না। এই দুই চিত্রের মধ্যে আসল ঘাটতিটা হচ্ছে দক্ষতার। মানুষদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে দুই ঘাটতিই পূরণ হতে পারে। মূলত এই মৌলিক বিষয়কে ধারণ করেই টেক পার্ক আইটির যাত্রা শুরু। টেক পার্ক আইটি এদেশের মানুষের মধ্যে আইসিটিতে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে চায়, যার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা যাবে।
একটি প্রতিষ্ঠান তার মূল লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইলে শুধুমাত্র ভালো লক্ষ্য নির্ধারণ করলেই চলে না; বরং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য মূল শক্তি হিসেবে যেসব জনবল কাজ করেন তাদের আগ্রহ ও যোগ্যতা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। আমাদের জন্য খুবই আশার বিষয় এই যে, আমরা এখানে আমাদের সহকর্মী হিসেবে এমন মানুষদেরকে পেয়েছি, যারা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যকে মনে প্রাণে নিজেদের জন্যও ধারণ করেন এবং সে লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর যোগ্যতার প্রশ্নে টেক পার্ক আইটি প্রথম থেকেই আপোসহীন থেকে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করে যাচ্ছে। ফলে একদল আগ্রহী ও যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণ কর্মীর সমাহার ঘটেছে এ প্রতিষ্ঠানে।
আমাদের সহকর্মীরা এখানের কাজকে জব হিসেবে না নিয়ে একে একটি মিশন হিসেবে নিয়েছে- দেশ গড়ার মিশন। এখানের প্রশিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে ফেরেন। শিক্ষার্থীদের সাফল্যে তাঁরা সকল ক্লান্তি নিমিষেই ভুলে যান, গেলেন তৃপ্তির ঢেকুর।
ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিশ্চয়ই অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে পারফর্ম করতে চাইলে প্রয়োজন প্রফেশনাল সিস্টেম গড়ে তোলা। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেকেই যথাযথ অধিকার পেতে পারেন, তিনি এখানের শিক্ষার্থীই হোন আর কর্মকর্তাই হোন। প্রফেশনালিজম নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রথম থেকেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সেই সাথে কোয়ালিটি নিশ্চিত করে কাজ করার দিকে আমাদের নজর ছিল শুরু থেকেই।
শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে কোর্স কারিকুলাম নিয়মিত আপডেট করার কারণে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে পারছি বলে আমরা আশাবাদী। নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স করিয়ে দিয়েই দায়িত্ব পালন সম্পন্ন হয়েছে মনে না করে, আমাদের সাথে সংযুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদেরকে 'টেক পার্ক আইটি পরিবার'-এর সদস্য হিসেবে বিবেচনা করে তাদেরকে প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠানে জবের সুযোগ করে দেওয়া এবং প্রফেশনাল উন্নয়ন দেখে আনন্দিত হওয়াটা আমাদের স্বপ্নের মতো। যে স্বপ্ন পূরণে আছে আত্মীক প্রশান্তি। এ প্রশান্তির পথে আমরা এগিয়ে যেতে চাই বহু দূরের পথ।